রেস্টুরেন্টটি। আবহসঙ্গীত হিসেবে বাজছিল সানাই। সন্ধ্যা সাতটা পেরোতেই গণমাধ্যমকর্মীরা হাজির। অনুষ্ঠানটি মূলত সাংবাদিকদের জন্যই। কিন্তু মাহিয়া মাহির দেখা নেই। ঘন্টাখানেক পর জ্যাম ঠেলে স্বামীকে নিয়ে হাজির হলেন নববধূ। পরণে লাল টুকটুকে শাড়ি। হাতে মেহেদীর আল্পনা। হাসিমুখে সবার সঙ্গে কুশল বিণিময় করলেন মাহি। তারপরই শুরু হলো ক্যামেরার ঝলকানি। ফটোসেশন শেষে গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। তার কিছুটা রইল এখানে:
দুজনের প্রথম পরিচয় কবে?
মাহি: বছর চারেক আগে। সিলেটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ও আমার এক বেস্ট ফ্রেন্ডের ফ্রেন্ড। সে হিসেবেই ওর সঙ্গে পরিচয় ছিলো।
বিভিন্ন ইন্টারভিউয়ে বলেছিলেন বাঁকা দাত আর কালো ছেলে আপনার পছন্দ। কিন্তু আপনার স্বামী তো ফর্সা?
মাহি: ফর্সা ছেলে আমার একদম পছন্দ না। কিন্তু আল্লাহ যা ভাগ্যে রেখেছে তাই হয়েছে।
আপনার চোখে মাহি কেমন?
পারভেজ মাহমুদ: মাহি খুব সহজ-সরল একটা মেয়ে। ওর ন্যাচারাল জিনিসগুলো খুব ভালো লাগে।
প্রপোজ করেছিলেন কে আগে?
পারভেজ মাহমুদ: প্রপোজ করা হয়নি। পরিবার থেকেই আমাদের বিয়েটা হয়েছে।
বিয়ের পর আপনার প্রথম কোন কথাটা মাহিকে বলেছিলেন?
পারভেজ মাহমুদ: আই লাভ ইউ। (হেসে উঠলেন মাহি। বলে উঠলেন তাই নাকি!)
আর মাহি?
মাহি: আমি হাসির সাইন পাঠিয়েছিলাম।
বিয়ের পর আপনার কেমন লাগছে?
পারভেজ মাহমুদ: বিয়েতে ইন্টারভিউ দিতে হবে ভাবিনি।
হলুদ অনুষ্ঠান থেকে বিয়ে হওয়ার পর আজ অবধি মাহির সময়গুলো কেমন কাটলো?
মাহি: ফোনের যন্ত্রনায় মরে যাচ্ছি। এমনকি গায়ে হলুদের দিনও সিনেমার মিটিং করেছি। আম্মু আমাকে হলুদ মেখে দিতে আসছিলো তখন আম্মুকে বললাম, দাড়াও আমি একটা মিটিং করে আসি। তারপর সিনেমার মিটিং করলাম। সিনেমার কাজটা ফাইনাল। ওর সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা শুরুর পর থেকেই সবকিছু খুব ভালো কাটছে।
বিয়ের পর অনেক নায়িকারাই হারিয়ে গেছেন। কাজের ক্ষেত্রে তার উপর কোন বিধিনিষেধ আনবেন কীনা?
মাহমুদ পারভেজ: কোন বিধিনিষেধ নেই। মাহি স্বাধীনভাবে কাজ করবে।
আর মাহি কী কাজ কমিয়ে দেবেন?
মাহি: কাজ কিছুটা কমিয়ে দেবো। সংসারটাও করতে হবে। বছরে দু’ একটা সিনেমা করবো। অবশ্যই বেছে বেছে কাজ করবো।
হানিমুনে যাচ্ছেন কোথায়?
মাহি: সিলেট। আমার খুব পছন্দের জায়গা। দেশের বাইরে আমার খুব ভালো লাগে না।
বিয়ের পর নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার ক্ষেত্রে আপনি কতোটা আশাবাদি?
মাহি: অলরেডি ভাত রান্না শিখছি। যদি কেউ আমার ছবি পছন্দ না করে রান্নায় মনোযোগি হবো। আমি ভাগ্যে বিশ্বাসী। নতুন যখন এসেছিলাম কোন যোগ্যতা ছিলো না। আমার ভাগ্যই এতো দূর নিয়ে এসেছে।
শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছেন কবে?
মাহি: জুলাইয়ের দিকে।
আগে তো প্রচুর ঘুরতেন। এখনও কী স্বামীকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করবেন?
মাহি: অবশ্যই। তবে ও খুব বেশি ভদ্র। চুপচাপ। খুবই শান্ত টাইপের। ও যদি আমার মতো বাচ্চার ক্যারেক্টার হতে পারে সেক্ষেত্রে আামাদের সঙ্গে যোগ দেবো।
বিয়ের পর নিজের মধ্যে কী পরিবর্তন দেখছেন?
মাহি: আগে একলা ইন্টারভিউ দিতাম। আর এখন আমার পাশে চশমা পরে আমার স্বামী বসে আছে। দুজন ইন্টারভিউ দিচ্ছি। এটাই পার্থক্য।
উল্লেখ্য, গতকালই সিলেটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বাগদান হয় মাহির। অপুর বাবা এম এ মান্নান দেশের একজন কয়লা আমদানিকারক। অপুর দাদা আবদুল হামিদ ছিলেন সিলেটের বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা।
Comments