অসংখ্য সুনির্মিত ও ব্যবসা সফল ছবির পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন। আশির দশকের শেষভাগ থেকে গেল দশকের মাঝামঝি পর্যন্ত পরিচালকদের মধ্যে দর্শকপ্রিয়তায় ছিলেন শীর্ষে। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে ছিলেন খ্যাতিমান। তার ছবিতে তারকারা হয়ে পড়তেন গৌণ, প্রচারের সব আলো নির্মাণের গুণে কেড়ে নিতেন একাই।
তারকা তৈরির জন্যও ছিল তার সুনাম। সিংহভাগ ছবি বানিয়েছেন দুইজন তারকাকে নিয়ে। হুমায়ূন ফরিদী এবং রুবেল ছিলেন খোকনের ফেভারিট। রুবেলের অভিষেক ঘটে খোকনের প্রথম সুপারহিট ছবি ‘লড়াকু’-তে। রুবেলের মারকুটে ইমেজটি খোকনের হাতে তৈরি। যা অনুসরণ করেছেন রুবেলের অন্য পরিচালকরা। রুবেলের ক্যারিয়ারসেরা ছবিগুলো খোকনেরই পরিচালনায় নির্মিত।
হুমায়ূন ফরিদীর প্রথম বাণিজ্যিক ছবি ‘দিনমজুর’। ছোট পর্দায় ‘সংশপ্তক’ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নাটকের ভিলেনটিকে খোকন নিয়ে আসেন রুপালি পর্দায়। খোকনের পরিচালনায় ‘সন্ত্রাস’ সুপারহিট হয়ে গেলে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যস্ত ভিলেনে পরিণত হোন ফরিদী। ফরিদীর একমাত্র প্রযোজনা ‘পালাবি কোথায়’ নির্দেশনা দিয়েছেন খোকন।
ভিলেন ড্যানি সিডাককে রুবেলের সমান্তরালে তুলে আনেন খোকন। নব্বই দশকে অত্যন্ত প্রভাবশালী তরুণ ভিলেন ছিলেন ড্যানি। মূলত নায়ক হওয়ার পর ড্যানি পিছিয়ে পড়েন। খোকনের হাত ছেড়ে দিলেও চলচ্চিত্রে তিনি দাপটের সাথেই বিচরণ করেন। আর এই দাপটের শুরুটা খোকনেরই হাত ধরে।
রুবেলের শীষ্য নজরুলকে নায়ক বানিয়েছিলেন পরিচালক খোকনই। নাম দিয়েছিলেন আলেকজান্ডার বো। ‘লম্পট’, ‘চারিদিকে শত্রু’ ছবিতে আলেক উঠতে না পারলেও তাকে ছেড়ে দেননি খোকন। ‘ম্যাডাম ফুলি-তে আলেককে একক নায়ক হিসেবে ব্রেক দেন। গেল দশকে ছোট বাজেটের শতাধিক ছবিতে নায়ক ছিলেন আলেক।
‘ম্যাডাম ফুলি’ ছবিতে আরেক অালোচিত নায়িকা সিমলাকে ব্রেক দেন খোকন। ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যান সিমলা। সিমলাকে চলচ্চিত্রে দাঁড় করাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান খোকন।
সিমলার পর পূর্ণিমাকে নিয়ে খোকন করতে চেয়েছিলেন ‘ভন্ড’। পাকেচক্রে সে ছবিতে নায়িকা হয়ে যান তামান্না। শুধুমাত্র একটি ছবির জন্য প্রজন্ম ধরে যে কোনো নায়িকাকে দর্শক মনে রাখতে পারেন, সেরকম এক উদাহরণ তৈরি করে খোকনের অন্যতম দর্শকপ্রিয় ছবি ‘ভন্ড’।
আরো অনেক শিল্পী উপহার দিয়েছেন শহীদুল ইসলাম খোকন। তারকা শিল্পী নিয়ে হিট ছবি বক্স অফিসে লাগাতার দেয়ার পাশাপাশি বজায় ছিল তার তারকা বানানোর প্রক্রিয়াও। তার মতো তারকা তৈরির কারিগরের অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আজ তার মৃত্যুর পর চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেকেই একথাটি বলছেন।
সুত্র: ঢালিউড২৪.কম
তারকা তৈরির জন্যও ছিল তার সুনাম। সিংহভাগ ছবি বানিয়েছেন দুইজন তারকাকে নিয়ে। হুমায়ূন ফরিদী এবং রুবেল ছিলেন খোকনের ফেভারিট। রুবেলের অভিষেক ঘটে খোকনের প্রথম সুপারহিট ছবি ‘লড়াকু’-তে। রুবেলের মারকুটে ইমেজটি খোকনের হাতে তৈরি। যা অনুসরণ করেছেন রুবেলের অন্য পরিচালকরা। রুবেলের ক্যারিয়ারসেরা ছবিগুলো খোকনেরই পরিচালনায় নির্মিত।
হুমায়ূন ফরিদীর প্রথম বাণিজ্যিক ছবি ‘দিনমজুর’। ছোট পর্দায় ‘সংশপ্তক’ জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর নাটকের ভিলেনটিকে খোকন নিয়ে আসেন রুপালি পর্দায়। খোকনের পরিচালনায় ‘সন্ত্রাস’ সুপারহিট হয়ে গেলে চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যস্ত ভিলেনে পরিণত হোন ফরিদী। ফরিদীর একমাত্র প্রযোজনা ‘পালাবি কোথায়’ নির্দেশনা দিয়েছেন খোকন।
ভিলেন ড্যানি সিডাককে রুবেলের সমান্তরালে তুলে আনেন খোকন। নব্বই দশকে অত্যন্ত প্রভাবশালী তরুণ ভিলেন ছিলেন ড্যানি। মূলত নায়ক হওয়ার পর ড্যানি পিছিয়ে পড়েন। খোকনের হাত ছেড়ে দিলেও চলচ্চিত্রে তিনি দাপটের সাথেই বিচরণ করেন। আর এই দাপটের শুরুটা খোকনেরই হাত ধরে।
রুবেলের শীষ্য নজরুলকে নায়ক বানিয়েছিলেন পরিচালক খোকনই। নাম দিয়েছিলেন আলেকজান্ডার বো। ‘লম্পট’, ‘চারিদিকে শত্রু’ ছবিতে আলেক উঠতে না পারলেও তাকে ছেড়ে দেননি খোকন। ‘ম্যাডাম ফুলি-তে আলেককে একক নায়ক হিসেবে ব্রেক দেন। গেল দশকে ছোট বাজেটের শতাধিক ছবিতে নায়ক ছিলেন আলেক।
‘ম্যাডাম ফুলি’ ছবিতে আরেক অালোচিত নায়িকা সিমলাকে ব্রেক দেন খোকন। ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে যান সিমলা। সিমলাকে চলচ্চিত্রে দাঁড় করাতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালান খোকন।
সিমলার পর পূর্ণিমাকে নিয়ে খোকন করতে চেয়েছিলেন ‘ভন্ড’। পাকেচক্রে সে ছবিতে নায়িকা হয়ে যান তামান্না। শুধুমাত্র একটি ছবির জন্য প্রজন্ম ধরে যে কোনো নায়িকাকে দর্শক মনে রাখতে পারেন, সেরকম এক উদাহরণ তৈরি করে খোকনের অন্যতম দর্শকপ্রিয় ছবি ‘ভন্ড’।
আরো অনেক শিল্পী উপহার দিয়েছেন শহীদুল ইসলাম খোকন। তারকা শিল্পী নিয়ে হিট ছবি বক্স অফিসে লাগাতার দেয়ার পাশাপাশি বজায় ছিল তার তারকা বানানোর প্রক্রিয়াও। তার মতো তারকা তৈরির কারিগরের অভাব কখনোই পূরণ হওয়ার নয়। আজ তার মৃত্যুর পর চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেকেই একথাটি বলছেন।
সুত্র: ঢালিউড২৪.কম
Comments